আজ বুধবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৭ আগষ্ট ‘জাতীয় সন্ত্রাস বিরোধী দিবস’ঘোষণার দাবি ওয়ার্কার্স পাটির

১৭ আগষ্ট ‘জাতীয় সন্ত্রাস বিরোধী দিবস’ঘোষণার দাবি ওয়ার্কার্স পাটির

১৭ আগষ্ট ‘জাতীয় সন্ত্রাস বিরোধী দিবস’ঘোষণার দাবি ওয়ার্কার্স পাটির

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যান মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের উপর ১৯৯২ সালের ১৭ আগষ্ট হামলার বিচার এবং ১৭ আগষ্টকে ‘জাতীয় সন্ত্রাস বিরোধী’ দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়ে সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশ করেছে জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি।

শুক্রবার (১৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে নেতৃবৃন্দ শহরে একটি মিছিল বের করেন।

বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হিমাংশু সাহার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড বশিরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির বিকল্প সদস্য কমরেড জাকির হোসেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি রোকনউদ্দিন আহমেদ, জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি ও মহানগর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সভাপতি এ বি সিদ্দিক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) মহানগর কমিটির সভাপতি মোসলে উদ্দিন, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা এইচ রবিউল চৌধুরীসহ জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দসহ ১৪ দলীয় জোটের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ শেষে নেতৃবৃন্দ একটি শহরের সমিছিল করেন।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন ‘এই মাস শোকের মাস। এই মাস যেমন শোকের মাস, তেমনি সন্ত্রাসের মাস। এই মাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। এই মাসে আমাদের প্রাণ প্রিয় নেতা রাশেদ খান মেননকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করা হয়েছিল। এই মাসেই আওয়ামীলীগের সভানেত্রীসহ আরো অনেকের উপর হামলা করা হয়েছিল। এই দিবসটিকে আমরা সন্ত্রাস বিরোধী দিবস হিসেবে পালন করছি। সেই হামলার এক বছর পর ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টি এই সন্ত্রাস বিরোধী দিবস পালন করে আসছি। আমরা এ দিনটিকে জাতীয় সন্ত্রাস বিরোধী দিবস হিসেবে চাই।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা পেয়েছি, সার্বভৌমত্ব পেয়েছি। কিন্তু যুদ্ধ এখনো শেষ হয় নাই, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ অসমাপ্ত রয়ে গেছে। কারণ স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনো এদেশে পাকিস্তানের শাসন কায়েম করার জন্য ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এখন এই ১৪ দল ও তার নেতৃবৃন্দ ক্ষমতায় না থাকে তাহলে ক্ষমতায় আসবে বিএনপি-জামাত সরকার।

তাহলে আবার এদেশে বোমাবাজি চলবে, জ্বালাও-পোড়াও চলবে। তখন প্রগতিশীলদের রাজনীতি করা কঠিন হয়ে পড়বে। যতোদিন পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থা বিদ্যমান থাকবে ততোদিন এই দুর্নীতি,এ সকল সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকবে। সন্ত্রাসীরা দেশ পরিচালনা করবে। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাস থেকে এদেশের জনগণকে মুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি সরকারকেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কেননা দুর্নীতি আর উন্নয়ন পাশাপাশি চলতে পারে না।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ ১৯৯২ সালে ১৭ আগষ্টকে ‘জাতীয় সন্ত্রাস বিরোধী দিবস’ ঘোষণার দাবি জানায়।